ওই ‘চক্রটি’ উপজেলার কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ দাবি করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। তবে কারো কাছ থেকে তারা টাকা নিতে করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফোনগুলো আসে বলে ওই চেয়ারম্যানরা জানান।
ফোন পাওয়া চেয়ারম্যানরা জানান, আমতলী ইউএনও একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে বৃহস্পতিবার একটি প্রতারক চক্র আমতলীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ‘ঘুষ’ দাবি করে। তারা টাকা পাঠানোর জন্য একটি মোবাইল নম্বর দেয়। পরে চেয়ারম্যানরা ইউএনওর সরকারি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ।
আঠারগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, “ইউএনওর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টিআর এর কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এক ব্যক্তি।
“তাৎক্ষণিক ইউএনওর সরকারি নম্বরে যোগাযোগ করে জানা যায় এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ।”
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, “প্রতারক চক্র ইউএনওর পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ দাবি করেছে। এভাবে আরও কয়েকজন চেয়ারম্যানের কাছে ‘ঘুষ’ দাবি করেছে।”
চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, “আমার কাছেও টাকা চেয়ে ফোন করেছিল প্রতারক চক্র।”
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, “ইউএনও মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন। বিষয়ট আমরা আমলে নিয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি।”
আমতলী ইউএনও একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা চাওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যানরা আমাকে জানিয়েছেন। সাথে সাথে আমি আমতলী থানাকে অবহিত করেছি। এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। তাই সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি এবং কাউকে কোনো টাকা পয়সা লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছি।”