চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়া থেকে ইখলাছ উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করেন তারা।
ইখলাছ ওই এলাকার পলাশ উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার ছেলের নাম-ইকবাল হোসেন।
মৃত ইকবালের মা মিতা খাতুন বলেন, তিনি ইখলাছের দ্বিতীয় স্ত্রী। আড়াই মাস আগে তাদের সংসারে ইকবালের জন্ম হয়। এরপর থেকেই ইখলাছ তাকে সন্দেহ করতে শুরু করে। এ নিয়ে প্রায়ই দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হত। বুধবার সকালে ছেলে ইখলাছের কোলে ছিল। হঠাৎ ছেলের কান্নার শব্দে কাছে গিয়ে তার বাম পা দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখেন।
মিনার অভিযোগ, ইখলাস পরিকল্পিতভাবে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
ওসি বলেন, ঘটনাটি জানার পর শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সন্ধ্যায় রাজশাহী নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর ইখলাছকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, শিশুটিকে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তা বোঝা যাবে ময়নাতদন্তের পর। তবে হাসপাতালে আনার পর শিশুটির খিঁচুনি হচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়। তাছাড়া শিশুটির বাম পায়ে ইনজেকশন পুশ করার মত চিহ্ন দেখা গেছে।