ছিনতাই মামলা: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পর এবার গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

রাজশাহীর বাগমারায় প্রকাশ্যে মারধর করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2022, 08:21 AM
Updated : 31 March 2022, 08:31 AM

বাগমারা থানার ওসি মোস্তফা আহম্মেদ জানান, নগরের বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁএলাকার বাড়ি থেকে বুধবার গভীর রাতে বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সরদার জান মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেন তারা।

এ মামলায় এর আগে গত ২৭ মার্চ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব উল্লাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছিল পুলিশ। দুইদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

গ্রেপ্তার জান মোহাম্মদ (৫০) আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। গত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

পুলিশ জানায়, বাগমারা থানার মির্জাপুর বিরহী বটতলা মোড়ে গত ২৫ মার্চ প্রকাশ্যে মারধর করে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনতাই ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় জান মোহাম্মদ ও নায়েব উল্লাহ নামের ৭৩ বছর বয়সের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষসহ নয়জন আসামির উল্লেখ করে মামলা হয়। এ মামলায় জান মোহাম্মদ প্রধান আসামি। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছী গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাদি হয়ে গত ২৬ মার্চ বাগমারা থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি মোস্তফা আহম্মেদ জানান।

মামলার বরাতে ওসি বলেন, “মোয়াজ্জেমের ভাতিজা স্বর্ণ ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন (২২) গত ২৫ মার্চ বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মির্জাপুর বিরহী বটতলা মোড়ে আসামিরা তার পথ রোধ করে প্রকাশ্যে মারধর করে এবং টাকার ব্যগ নিয়ে নেয়। সেই ব্যগে এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিল। এছাড়াও ওই এলাকায় ব্যবসা করার জন্য জুবায়েরের কাছ থেকে আসামিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

“মামলার পর জান মোহাম্মদ পালিয়ে গিয়ে রাজশাহী শহরে এসে আত্মগোপন করে ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার রাত ২টার দিকে নগরের হেতেমখা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মারধর করে টাকার ব্যগ চুরি ও চাঁদা দাবির ধারায় মামলাটি হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে জান মোহাম্মদ ও নায়েব উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা তদন্তে বের হয়ে আসবে।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মির্জাপুর বিরহী গ্রামের মোজ্জাফর হোসেন (৩২), আব্দর বারী (৩৫), জামাল হোসেন (৪২), আনছার আলী (৪৫), আজাদ আলী (৪৬), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও মুগাইপাড়া গ্রামের মাহফুজ আলী (২৪)।

তাদের মধ্যে জামাল, আনছার ও আজাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বয়স ৬০ বছরের উপরে। এ মামলা দায়ের পর থেকে তারাও বাড়ি ছাড়া বলে জানান ওসি।