বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
সভায় রাষ্ট্রপতি বলেন, লোভনীয় অফার দেখলেই ক্রেতাদের হুমড়ি খেয়ে পড়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে বাস্তবতা বিবেচনা করে বিনিয়োগ ও ক্রয়াদেশ দিলেই এই প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, শিক্ষা ও কর্ম অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত। কর্মহীন শিক্ষা অনেক সময় মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। তৈরি করে অভিজাত শিক্ষিত বেকার। বেকারত্বের বোঝা নিয়ে তরুণরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ না হয়ে দায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।
“তাই আমি আশা করব, সকল যোগ্য ছেলেমেয়ে এ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায়
সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
এর আগে বিকালে রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের শোলমারায় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রায় ৫ একর ভূমিতে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তলা ভবন বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ হাই টেক-পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।
রোববার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পাঁচ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জ আসেন। মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম এই তিন উপজেলায় মতবিনিময় ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বুধবার বিকালে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে পৌঁছান।