উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপনে অনুষ্ঠান কক্সবাজারে

বাংলাদেশের ‘স্বল্পোন্নত’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উত্তরণ উদযাপনে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2022, 05:11 PM
Updated : 30 March 2022, 05:11 PM

‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ শ্লোগানে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উৎসব উদযাপিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।

বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অর্থনৈতিক সূচকের অর্জিত তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)-এর ত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নতদেশ থেকে উত্তরণের সবগুলো সূচকে উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়। এরপর ওই বছরের ৮ জুন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকসোক) সিডিপির উল্লিখিত সুপারিশ অনুমোদন দেয়।

“সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকালসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করে। উন্নয়নশীল দেশে ‘বাংলাদেশের উত্তরণের’ এই প্রস্তুতিকাল শেষ হবে ২০২৬ সালে।”

ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, “বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি কিনা জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত উত্তরণের তিনটি মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। অর্থনৈতিকভাবে উত্তরণের দেশের এ ধরনের অর্জনের স্বীকৃতি এমন সময়ে পাওয়া গেছে যখন পুরো দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে।”

অর্থনৈতিকভাবে দেশের ঐতিহাসিক অর্জনের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ হিসেবে কক্সবাজারে ‘উত্তরণ উৎসব’ উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উত্তরণ উৎসব’ উদযাপন শুরু হবে। দিনব্যাপী এই জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ‘উন্নয়ন মেলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ – মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প, পর্যটন সম্ভাবনা, আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং স্থানীয় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

‘উত্তরণ উৎসব’ উদযাপনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের অনুষ্ঠাস্থল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।