দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সফিকুল ইসলাম বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
রোববার রাতে নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে ১৬ বছর বয়সী সাজিদকে ঘরের ভেতর কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত সাজিদ ওই গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল সে।
ওসি মিজানুর বলেন, হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর থানা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার কারণ জানতে পারেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. হান্নান (৪৫) ও ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. আরমান (১৯)।
হান্নান পেশায় অটোরিকশা চালক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত সাজিদের বড় ভাই মো. রবিউল আওয়াল শুভর (১৮) সঙ্গে আসামি হান্নানের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। শুভ ও ওই নারী গাজীপুরের এক পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পরে তারা বিয়ে করলে হান্নান প্রতিশোধ নিতে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। হান্নান তার মামাত ভাই আরমানকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতে সাজিদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেন।তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা হত্যা করে তারা পালিয়ে যান।
পরদিন সকালে ঘরের দরজা খুলে খাটের উপর সাজিদের মরদেহ দেখতে পায় পরিবার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলের কাছে পুকুরপাড় থেকে রক্তমাখা জামা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সাজিদের প্রতি হান্নানের আক্রোশের কারণ জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, “হান্নান প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে শুভর পরিবারের ক্ষতি করতে চেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।”