৫ ধর্ষণের রায়, ৪ জনকেই স্কুলের পথ থেকে তুলে নেওয়া হয়
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 Mar 2022 05:55 PM BdST Updated: 29 Mar 2022 05:55 PM BdST
অপহরণ করে ধর্ষণের পাঁচটি মামলায় রায় এক সঙ্গে দিয়েছে সুনামগঞ্জে একটি আদালত; এর মধ্যে চারজনকেই স্কুলে যাওয়ার পথে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সংগঠিত এসব মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
আসামিদের উপস্থিতিতে এসব মামলায় রায় দেওয়া হয় বলে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী (পিপি) নান্টু রায় জানান।
তিনি বলেন, “আদালত একসঙ্গে পাঁচটি মামলার রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সমাজে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা কমবে।”
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ধর্মপাশা উপজেলার ফাতেমানগর গ্রামের রোকন মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার ইছাকপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, সদর উপজেলার ইছাগড়ি গ্রামের জিতেন্দ্র দাসের ছেলে শৈলেন দাস, বিশ্বম্ভরপুর থানার মিয়ারচর গ্রামের আসাদ মিয়া এবং সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের রিপন মিয়া ।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ধর্মপাশা উপজেলার ফাতেমানগর গ্রামের রোকন মিয়া ২০১১ সালের ২ এপ্রিল একই গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ এবং ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেন।

২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেরার ইছাকপুর গ্রামের শাহিন মিয়া উপজেলার হারগ্রাম গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে সিলেটের ভোলাগঞ্জে নিয়ে যায়। এবং সেখানেই ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরিবার মামলা করে।
বিচারক শাহিন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফজলে আমিন।
২০১৩ সালের ১৫ মার্চ সদর উপজেলার ইছাগড়ি গ্রামের শৈলেন দাস নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে পথ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
বিচারক শৈলেন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবদুল করিম।
২০১৫ সালের ১৯ মার্চ বিশ্বম্ভরপুর থানার মিয়ারচর গ্রামের আসাদ মিয়া আমড়িয়া গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন।
বিচারক আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসাদের বাবা ইদন মিয়া এবং মা জগৎ বানুকে খালাস দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন রফিকুল আলম।

রিপন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আফতাব উদ্দিন।
পাঁচটি মামলার রায় একসঙ্গে দেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলার সভানেত্রী গৌরি ভট্টাচর্য।
তিনি বলেন, “এটি একটি স্মরণীয় রায়। এই রায়ের প্রভাব অবশ্যই সমাজে ইতিবাচকভাবে পড়বে। এ ধরনের জঘন্য কাজ করলে যে শাস্তি পেতে হবে সেটি প্রতিষ্ঠিত হলো।”
-
জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠল
-
বিরোধ: মাদারীপুরে দুজনকে কুপিয়ে আহত
-
কক্সবাজার শহরে দস্যুতা-লুণ্ঠনের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
-
হবিগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু
-
কক্সবাজারে র্যাবের মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
-
চুয়াডাঙ্গার সড়কে বাইক ও প্রাইভেট কার থামিয়ে ডাকাতি
-
গাজীপুরে ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর’ কিশোরীকে
-
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামির বিরুদ্ধে পিপির জিডি
- শিক্ষককে পিটিয়ে খুন: মামলায় জিতুর বয়স ১৬, র্যাব বলছে ১৯
- বাঘাইড় বিক্রি করায় সুপার শপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- সিরাজগঞ্জে অস্ত্র হাতে ‘ভাইরাল’ সেই বায়েজিদ পিস্তলসহ গ্রেপ্তার
- পদ্মা সেতু: যশোর তাকিয়ে কালনা সেতুর দিকে
- জর্দার পোটলা নিয়ে হজে, ভোগালেন সহযাত্রীদেরও
- বান্ধবীর সামনে ‘হিরো হতে’ শিক্ষককে পেটান জিতু
- পদ্মা সেতুর নাট খুলে গ্রেপ্তার ‘সাবেক শিবিরকর্মী’
- ‘হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে’ শিক্ষক খুনের আসামি জিতু রিমান্ডে
- পদ্মা সেতুতে আবেগাপ্লুত ভারতের পর্যটক
- বিমানবন্দরে ২৩ লাখ সৌদি রিয়াল ফেলে পালালেন যাত্রী