সোমবার সকাল ৬টা থেকে থেমে থেমে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে শেরপুর শহর ও এর আশপাশের এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকারে সবকিছু ঢেকে যায়। শুরু হয় বৃষ্টি। সকালে যারা হাঁটতে এবং বিভিন্ন কাজে ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন তারা ক্ষণিকের জন্য বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।
তবে বৃষ্টিতে শীতল হয়েছে পরিবেশ। চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে একটু বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের খুঁজিউড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোরো আবাদটা আমরা সেচের পানি দিয়া কইরা থাহি। সকালে বৃষ্টিটা হওনে আমাগোর ধান ক্ষেতের জন্য খুবই উপকার অইছে। এই বৃষ্টি আমাগোর জন্য আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি বইলা মনে করি।
“বৃষ্টির পানিডা ধান গাছের বুক বাইয়া পড়ছে। ক্ষেতে অহন থোর ধান। কতক ক্ষেতে ধান কিছু কিছু বাইর অইছে। আবার কতক ক্ষেতে ধান বাইর অয়ার পথে আছে। অহন বৃষ্টি হওনে ধানগুলার লাভ হইছে।
কৃষক জাহিদুল আরও বলেন, “এই বৃষ্টি হওনে ধান গাছে পোকামাকড় কমবো। আম ও লিচু গাছে ওহন গুটি অইছে, বৃষ্টিতে ওইগুলারও উপকার অইছে।”
শেরপুর পৌরসভার শেখহাটি মহল্লার কৃষক আফিল উদ্দিন বলেন, “এই বৃষ্টি ধানসহ অন্যান্য ফসলের জন্য খুবই ভাল হয়েছে।”
শেরপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ সুধাময় দাস বলেন, “বর্তমানে প্রকৃতিতে যে উত্তপ্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে এই বৃষ্টি অনেকটা আর্শীবাদ বয়ে এনেছে বলে বলা যায়।”
শেরপুরের প্রবীণ সাংস্কৃতিক কর্মী কমল চক্রবর্তী বলেন, “এই বৃষ্টি ক্ষণিকের জন্য হলেও চৈত্রের ভ্যাপসা গরমের মধ্যে একটু শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে।”