রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ছিনতাই-চাঁদাবাজির মামলায় ‘৭৩ বছর’ বয়সের অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2022, 01:45 PM
Updated : 27 March 2022, 01:45 PM

রোববার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তফা আহম্মেদ জানান।

গ্রেপ্তার নায়েব উল্লাহর বাড়ি বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মুগাইপাড়া গ্রামে।

ওই মামলায় আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জান মোহাম্মদ (৫০) এবং অন্য সাতজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারভুক্ত অন্য সাত আসামি হলেন- উপজেলার মির্জাপুর বিরহী গ্রামের মোজ্জাফর হোসেন (৩২), আবদর বারী (৩৫), জামাল হোসেন (৪২), আনছার আলী (৪৫), আজাদ আলী (৪৬), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও মুগাইপাড়া গ্রামের মাহফুজ আলী (২৪)।

জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছী গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩২) শনিবার বাগমারা থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাতিজা স্বর্ণ ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন (২২) শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার টাকা ছিনতাই করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, জুবায়ের শিকা মির্জাপুর বিরহী বটতলা মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা তার পথ রোধ করে মারধর করে এবং এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাছাড়া জুবায়েরের কাছে আসামিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জান মোহাম্মদ বলেন, ওই দিন তিনি রাজশাহী শহরে ছিলেন।

“কিভাবে বা কেন আমাদের বিরুদ্ধে এই ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে তা জানা নেই। তবে মামলাটি তদন্ত না করে আসামি গ্রেপ্তারের নামে ৭৩ বছরের বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে জেলে দেওয়া সঠিক হয়নি। বিষয়টি পুলিশের উচ্চমহলের খতিয়ে দেখার দাবি জানাই।”

অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক নায়েব উল্লাহর ছেলে মাহবুব রহমান রাজশাহীর মচমইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বাবার বয়স ৭৩ বছর। ১৪ বছর আগে তিনি মোহনপুর উপজেলার চকবিরহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন।

“শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ করে পুলিশ এসে বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত না করেই বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। আর আদালতও তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিল।”

মামলায় নায়েব উল্লাহর বয়স ৫৩ বছর লেখা হয়েছে। তবে আসামি চালানের ফরমে তার বয়স লেখা হয়েছে ৬০ বছর।

ওসি মোস্তফা আহম্মেদ বলেন, “মামলার এজাহারে নাম দেখে আসামি হিসেবে নায়েব উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেওয়া হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।”

বয়স সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি।

মামলার তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তে জানা যাবে নায়ে উল্লাহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না।