শুক্রবার রাতে তাকে আটক করা হয় বলে সিপিসি-৩ র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান।
বুধবার সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়ন থেকে রাহাতের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর রাতে নিহতের বাবা অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কমান্ডার বলেন, “২২ মার্চ রাতে রাহাত তার বন্ধুর সঙ্গে লুডু খেলছিল। খেলার সময় বন্ধুকে সে কয়েকবার ‘এতিম’ বলে ডাকে। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় তার বন্ধু।”
“পরে ওই বন্ধু বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কিনে। সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় তার বন্ধু। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধুটি ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোচ দেয়।
“এ সময় রাহাত চিৎকার দিলে বন্ধুটি মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোচ মারে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদার মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। মৃত্যুর পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে তার (রাহাতের) মোবাইল নিয়ে বন্ধুটি বাড়ি চলে যায় । বাড়িতে গিয়ে গোসল করে এবং রক্তমাখা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে সে।”
তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রাহাতের বন্ধুকে আটক করা হয়েছে এবং তার ঘর থেকে রাহাতের জামাকাপড় ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা।