ভয়াবহ আগুনে পুড়ল স্টার লাইন ফুড কারখানা

ভয়াবহ আগুনে ফেনী সদরে স্টার লাইন ফুড কারখানা পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2022, 06:28 PM
Updated : 25 March 2022, 06:28 PM

পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুরে এই কারখানায় শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়; পরে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর পাঁচটি ফিরে যায়।

এ কারখানায় অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার পর আগুন আর ছড়াতে পারেনি। তবে পুরোপুরি নিভতে শনিবার বিকাল পর্যন্ত গড়াতে পারে।

পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী সাংবাদিকদের বলেন, ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রথমে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে ফেনীর আরও পাঁচটি উপজেলা টিম ও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আরও কয়েকটি টিম মিলিয়ে ১৫টি ইউনিট যোগ দেয়।  

“রাত ১০টার পর কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে আসা পাঁচটি ইউনিট ফেরত যায় এবং এরপর ১০টি ইউনিট কাজ চালাতে থাকে। বিকাল ৫টার পর থেকে আগুন আর ছড়াতে না পারলেও ভেতরে জ্বলছিল।”  

তিনি বলেন, স্টার লাইন গ্রুপের কারখানাটি অনেক বড়। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কারখানায় দাহ্য পদার্থ, বিভিন্ন ধরনের পলিথিনের রোল, ফয়েল পেপারসহ নানা ‘ক্যামিকেল’ থাকায় আগুন পুরোপুরি নিভতে শনিবার দুপুর বা বিকাল হতে পারে।

“আগুন লাগার সময় শ্রমিকরা জুমার নামাজ ও খাবার বিরতিতে ছিলেন; হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”

স্টার লাইন গ্রুপের পত্রিকা ‘দৈনিক স্টার লাইন’-এর সহযোগী সম্পাদক জসিম মাহমুদ বলেন, “আগুনে পুরো কারখানা পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।”

স্টার লাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন বলেন, স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানার সেমাই, নুডলস, বিস্কুট, চানাচুর, বার্গার, পেইস্ট্রি, মিষ্টিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আইটেমের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। কারখানায় সকল ধরনের কঞ্জুমার আইটেমের পাশাপাশি মিনারেল ওয়াটার প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কারখানায় অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে।

“আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত পণ্যসহ আগুন লাগার সময় প্রায় কয়েক কোটি টাকার উৎপাদিত পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।”