উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দাওসাও এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে হত্যা করা হয় বলে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন জানান।
নিহত মাহমুদা আক্তারের (৪) বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার দাওগাওয়ের রমজান আলী এবং মা পুটিজানা ইউনিয়নের দাওসাও এলাকার মৃত হযরত আলী ফকিরের মেয়ে নাজমা বেগম (৪০)।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জাকির বলেন, নাজমা বেগম কিছুটা মানসিক ভারসার্মহীন এবং তার একাধিক বিয়ে হয়েছে। আনুমানিক পাঁচ বছর আগে রমজান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
তিনি বলেন, রমজান আলী মাদক ও জুয়া খেলায় আসক্ত হওয়ায় এই শিশু তিন মাসের গর্ভে থাকা অবস্থায় নাজমা বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই থাকতেন।
“ঘটনার দিন শিশুটি পাশের উঠানে খেলাধুলা করার সময় নাজমা বেগম দৌড়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে কাঁচি দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা করে। পরে আশপাশের লোকজন শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নাজমাকে শিকলে বেঁধে থানায় খবর দেয়।”
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শিশুর মা নাজমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।