বিয়ের আট বছর পর একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কুড়িগ্রামের এক গৃহবধূ।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2022, 10:25 AM
Updated : 23 March 2022, 10:25 AM

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আদুরী বেগম আশা তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন বলে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনি বিভাগ) ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা জানান।

চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গর্ভধারনের আট মাসের মাথায় চার সন্তানের জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে ছেলে নবজাতকের ওজন একটু কম; তিন কন্যার ওজন ও গঠন ঠিক রয়েছে।“

“বর্তমানে চার নবজাতকই সুস্থ আছে এবং তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাহসিনা বিনতে আবেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রসূতি আদুরী বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর তার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে।”

“বাচ্চারা ভালো আছে। আশা করি মা ভালো থাকবেন। একসঙ্গে চার সন্তানের সিজারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের চিকিৎসকরা সেটি সুন্দরভাবে করতে পেরেছেন।”

আদুরী বেগম আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী। আট বছর আগে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ঠাকুরগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা গ্রহণের একপর্যায়ে আদুরী অন্তঃসত্ত্বা হন।

মনিরুজ্জামান বাঁধন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিরাপদ প্রসবের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে রংপুরে একটি ভাড়া বাসায় আছি। গত ১ মার্চ আলট্রাসনোগ্রাম করে একসঙ্গে চার সন্তান গর্ভে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন আদুরী।

তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার সকালে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। চারজনই ভালো রয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।“

এদিকে চার সন্তান প্রসবের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড় করছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী, অভিভাবক ও উৎসুক মানুষ।

আরও পড়ুন