লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

রামগতি উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ১৬ বছর পর এক বক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে লক্ষ্মীপুরের একটি আদালত।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2022, 07:13 AM
Updated : 23 March 2022, 07:13 AM

বুধবার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান।

দণ্ডপ্রাপ্ত বশির মিস্ত্রি (৬০) উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ২০০৬ সালে চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বিয়ে করেন বশির। এটি ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে বশিরের দুই ছেলে ও চার মেয়ে আছে। মমতাজেরও দুই ছেলে হয়।

বশির বিয়ের পর থেকেই মমতাজকে মারধর করত। এ নিয়ে একাধিকার সালিস বৈঠকও হয়। এরপরও মমতাজকে মারধর করা বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময় মমতাজ পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করত। বশিরের আগের সংসারের ছেলেমেয়েরা মমতাজকে ভালো চোখে দেখত না বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

পারিবারিক কলহের জের ধরেই বশির ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। মমতাজের ডান গাল ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।

পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে স্ত্রীকে খোঁজার নাটক করে। নিজেই সয়াবিন ক্ষেতে লাশ খুঁজে নিয়ে প্রচার করে কে বা কারা মমতাজকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা বশিরকে আটক করে পুলিশ দেয়।

আইনজীবী আরও জানান, ঘটনার পরদিন মমতাজের ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পুলিশ শুধু বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আটজন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করে।