টিসিবির পণ্য নিয়ে কারসাজি করলে সর্বোচ্চ শাস্তি: বাণিজ্যমন্ত্রী

সাশ্রয়ী মূল্যের টিসিবির পণ্য নিয়ে কারসাজি করলে শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2022, 12:58 PM
Updated : 20 March 2022, 12:58 PM

রোববার দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

মন্ত্রী বলেন, “রমজান মাসে মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যসামগ্রী পায় এজন্য প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সহায়তা দিচ্ছেন। মানুষের এই পণ্য নিয়ে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি খাদ্য মজুদসহ কোনোরূপ কারসাজি করে তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

“প্রথম কিস্তিতে আজ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে এ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য বিক্রির জন্য তালিকা তৈরি করে বিশেষ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ করা হয়েছে।“

টিপু মুনশি বলেন, ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।

“বিতরণের আগের দিন ‘ফ্যামিলি কার্ড’ সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে সময় কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একযোগে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল এবং দুই কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকাসহ তিনটি পৌরসভা ও আটটি উপজেলার মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি উপকারভোগী পরিবার তালিকায় থাকছে। এর মধ্যে করোনাকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার এবং এক লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জন নতুন। এসব এলাকায় ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ২২২টি কেন্দ্রে এসব পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

উদ্বোধনকালে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন