সদর উপজেলার নতিবাড়ি গ্রামে এই ছাপ দেখেছেন বলে রংপুর বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ জানিয়েছেন।
শুক্রবার সদর উপজেলার চওরাবড়গাছা ইউনিয়নের দলবাড়ি গ্রামে মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়।
এলাকায় আরও বাঘ থাকতে পারে এই সন্দেহে বনকর্মকর্তারা শুক্রবার দুপুর থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নেন।
“শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাঘের সন্ধান পাওয়া না গেলেও ঘটনাস্থল দলবাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নতিবাড়ি চৌরঙ্গী এলাকায় বাঘের পায়ের একাধিক ছাপ দেখতে পেয়েছি।”
বাঘ সন্ধ্যার পর বা রাতে বিচরণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা প্রস্তুত রয়েছেন। যদি বাঘের দেখা মেলে তাহলে নিরাপদে উদ্ধার করবেন তারা।
বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় চওড়াবড়গাছা ও গোড়গ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ছয়টি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক চলছে।
গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান চওরাবড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বিটু ও গোড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবু জজ।
শনিবার সকালে থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকায় দেখা গেছে, ওসই মুরগির খামার এলাকাসহ আশপাশে কিছু এলাকায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে লাল পতাকা উড়িয়ে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। দলবাড়ি, বাঘপাড়া, ডারিরপাড়, ধোবাডাঙ্গা, তীলবাড়ি ডাঙ্গা, কাঞ্চনপাড়া, হিন্দুপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। যারা যাচ্ছেন তার সতর্ক থাকছেন।
মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় নীলফামারী থানায় জিডি করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম খান বলেন,‘ নীলফামারী সদর থানায় একটি জিডি করা পর নীলফামারী প্রাণী সম্পাদ
জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনায়েম খান বলেন, নীলফামারী থানায় জিডি করার পর নীলফামারী প্রাণী সম্পাদ হাসপাতালে মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।