শনিবার সকালে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর দলগ্রাম থেকে ফারিয়া বেগম (২২) ও মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত মদাতী এলাকা থেকে রুপালি খাতুন (২৫) নামে এই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসূল জানান।
পুলিশ জানায়, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ফারিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বামীর পরিবার দাবি করলেও পুলিশ তার মরদেহ বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকে ফারিয়ার স্বামী সুজন মিয়া (৩০), সুজনের বাবা শাহাজাহান আলী ও মা শরিফা বেগম পলাতক।
ফারিয়ার মা আরেফা বেগমের বরাতে পুলিশ জানায়, ফারিয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
আর রুপালির মরদেহ বাড়ির কাছের সুপারিবাগান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর থেকে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন রুপালি। কিন্তু কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার জানতে পারেনি পুলিশ।
রুপালির মা আঞ্জু আরা বেগমের করাতে পুলিশ জানায়, রাতে নামাজ পড়ে মা-মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রুপালি কখন উঠে সুপারি বাগানে যান তা জানেন না তার মা। সকালে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে বাগানে মৃত অবস্থায় পান মা।
ওসি রসূল বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।