ওই যুবকের স্বজনদের করা মামলায় শুক্রবার সাভার থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আত্মঘাতী ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) রংপুরের পীরগাছা থানার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী মোছা. শামীমা ইয়াসমিন সাথী (২৩), মো. শাহজাহান ইসলাম বাদল (৫০), মো. ইমদাদুল হক (৩৫) এবং মোছা. বিথী আক্তার (৩০)। চারজনেরই বাড়ি রংপুর জেলায়।
শনিবার র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের হেমায়েতপুরের একতা হাউজিং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রনি ফেসবুক লাইভে এসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় ওই যুবক তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা ভাইসহ শ্বশুরবাড়ির আরও কয়েকজনকে দায়ী করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার বছর আগে একই থানার শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে বিয়ে করেন ইমরোজ হোসেন রনি। সাথী হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে।
বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপরই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয় এবং ভরণপোষণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তার স্ত্রী।
একপর্যায়ে কাউকে না জানিয়ে সাথী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। সেখানে স্ত্রীকে আনতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রনিকে অপমান-অপদস্ত করে।
এর পরই পীরগাছায় নিজের বাড়িতে ফিরে লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন রনি।
এ ঘটনার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হলে আসামিরা সাভারে আত্মগোপনে করে বলে জানায় র্যাব।
শনিবার দুপুরে আসামিদের পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।