শনিবার দুপুরে সাইফুর রহমান (৩৩) নামে এই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন।
সাইফুর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার পূর্ব শেখেরপাড়া এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে। আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় তার মামা আব্দুল হাসনাতের ‘বাগদাদ প্যাকেজিং’ নামে কারখানার ব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি।
এসআই দেলোয়ার বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে তারা গিয়ে মরহেদ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
“কারখানার ভেতরে একটি রুমে ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সাইফুর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চিরকুটে লেখা রয়েছে, “আমার কারও ওপর কোনো মান-অভিমান বা রাগ নেই। আল্লাহর জন্য আমি সবাইকে ভালবাসি। আমার লাশ আমার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করলাম।”
বাগদাদ প্যাকেজিং কারখানার মালিক আব্দুল হাসনাত জানান, নিহত সাইফুর রহমান তার ভাগনে।
“খুবই ফরেজগার ছিল সাইফুর। কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল না। কেন সে আত্মহত্যা করল এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।”
তিনি জানান, প্রায় এক মাস আগে সাইফুর বিয়ে করেন। তার স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। আর সাইফুর কারখানার ভেতরে একা একটি রুমে থাকতেন।