বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম প্রতিকৃতির উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। তবেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সবাইকে এই এগিয়ে যাওয়ার কাজে অংশ নিতে হবে।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, “জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ‘চেতনার বাতিঘর’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করে। এই প্রতিকৃতিকে ঘিরে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার এক নান্দনিককেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে সাতটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরা হয়েছে।
‘চেতনার বাতিঘর’ দেখতে আসা শহরের নাগড়া এলাকার শিক্ষার্থী আবু সাইয়াম বলে, “সাতটি স্থানে তুলে ধরা বঙ্গবন্ধুর জীবনের কথা পড়লাম। অনেক কিছুই আজ জানলাম। বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবনই দেশের জন্যে উৎসর্গ করে গেছেন।”
আরেক কলেজ শিক্ষার্থী রাখাল দেবনাথ বলেন, “এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর কথা নতুন করে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে এইটুকু বুঝতে পেরেছি যে, শুধু নিজের জন্যে জীবন নয়। জীবন সব মানুষের জন্যে। মানুষের জন্যে কাজ করার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে ঘিরে ‘চেতনার বাতিঘর’ স্থাপনে পুরো প্রাঙ্গণটিকে মনোমুগ্ধকরভাবে সাজানো হয়েছে। একদিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে বেড়ানো যাবে, আবার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনাও করতে পারবে। দেশকে জানতে পারবে।”
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমশিনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান।