লালন একাডেমির নির্বাহী সদস্য সেলিক হক জানান, নিয়ম অনুসারে পূর্ণিমা তিথির লগ্ন ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বাউলদের সাধুসংঘ শুরু হয় এবং শেষ হয় শুক্রবার দুপুরে। এরপরই শুরু হয় বাউলদের নিজ ধামে ফেরার পালা।
শুক্রবার দুপুরে পূণ্যসেবা গ্রহণ শেষে অধিকাংশ বাউল সাধু নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবেন।
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি- বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের এই আধ্যাত্মিক বাণীর শ্লোগানে মঙ্গলবার থেকে লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়। রাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ছেউড়িয়ার লালন আখড়া ছাড়াও পাশের এলাকা পরিনত হয়েছিল জনসমুদ্রে। কালী নদীর পাড়ে আয়োজন করা হয়েছিল গ্রামীণ মেলার।
ছেউড়িয়ার লালন আখড়া দেশ বিদেশের ভক্ত অনুসারীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কেউ আত্মিক শান্তির অন্বেষণে আবার কেউ লালন আখড়ার এই হৃদয়গ্রাহী মহামিলন পরিদর্শনে এসেছিলেন।
ঝিনাইদহ থেকে আসা হেকমত শাহ ফকির বলেন, এখানে গুরু শিষ্যের ভাব আদান প্রদানে লালনতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা চলে। আর সেই সঙ্গে চলে নিজস্ব ঘরানায় বসে লালনের গান। এভাবেই সাধু ভক্তরা স্মরণ করেন বিশ্বমানবতা ও অসাপ্রদায়িক চেতনার পুরোধা বাউল সাধক লালন শাহ ফকিরকে।