বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শেরপুরের ২৫ ক্ষুদে খেলোয়াড় পেল বাইসাইকেল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শেরপুরে সুবিধাবঞ্চিত ২৫ জন ক্ষুদে খেলোয়াড়কে বাইসাইকেল উপহার দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2022, 05:02 AM
Updated : 18 March 2022, 05:03 AM

জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে বৃহস্পতিবার শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে ১৫ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে খেলোয়াড়দের হাতে বাইসাইকেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া।

ক্রীড়া সংস্থার সচিব মো. জিন্নত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, “শেরপুরে এখন অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়ে আসছে। বিশেষ করে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফুটবলার আতিক, কিরণ, অ্যাথলেট জহিরের মতো খেলোয়াড়রা শেরপুরের নাম উজ্জ্বল করে তুলছে। ক্ষুদে খেলোয়াড়রা অনেক সময় দূর থেকে স্টেডিয়ামে এসে প্র্যাকটিস করে। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এসব বাইসাইকেল প্রদান করা হল। যতদিন তারা প্র্যাকটিস করবে, ততদিন সাইকেলটি তাদের কাছে থাকবে। পরবর্তীতে প্র্যাকটিস শেষে সাইকেলটি ক্রীড়া সংস্থার কাছে ফেরত দিবে যাতে অন্যজন সেটি ব্যবহার করতে পারে।”

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোক্তাদিরুল আহমেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন রহমান ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিক কহিনূর বেগম বিদ্যুৎ বক্তব্য দেন। 

এদিকে বাইসাইকেল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ক্ষুদে খেলোয়াড়রা।    

ক্রিকেট খেলোয়ার রুনা বলেন, “আমি জ্যোতি আপার মতো বড় ক্রিকেটার হতে চাই, জাতীয় দলে খেলতে চাই। এজন্য আমি ১০/১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে আসি। কিন্তু আর্থিক সংকচের কারণে আমার নিয়মিত প্র্যাকটিসে আসা সম্ভব হয় না। সাইকেলটি পেয়ে আমার খুব উপকার হল। আমি এখন নিয়মিত মাঠে প্র্যাকটিসে আসতে পারব। এজন্য আমার কোন টাকাও লাগবে না। আমি খুব খুশি হয়েছি।”

শ্রীবরদীর বালিয়াচণ্ডি গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার সাদ মিয়া জানায়, সে বড় ফুটবলার হতে চায়। কিন্তু বাড়ি প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় স্টেডিয়ামে গিয়ে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। এখন নিয়মিত অনুশীলনে যেতে সাইকেলটি খুব কাজে দেবে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত বলেন, অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী খেলোয়াড়দের অনুশীলনের মাঠে আসা যাওয়ার জন্য সাইকেল দেওয়ার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার। এর মাধ্যমে শেরপুরের তরুণ খেলোয়াড়রা খেলাধুলায় উৎসাহিত হবে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে।