স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাইকে ফাঁসাতে বাড়ির পাশে লাশ

ময়মনসিংহে ‘সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে’ এক পোশাক কর্মীকে বিয়ে করার পর তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2022, 11:21 AM
Updated : 17 March 2022, 11:21 AM

পুলিশ বলছে, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল নামের ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা’ করেন, তারপর আপন ভাইকে ফাঁসাতে তার বাড়ির পাশে ফেলে রাখেন লাশ।

জেলার পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বৃহস্পতিবার জানান, হত্যার শিকার ওই তরুণীর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। আর রাজ্জাক মণ্ডলের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার টাংগাটি মধ্যপাড়ায়।

“গাজীপুরের একই পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তাদের পরিচয়। মেয়েটিকে সাংবাদিক বানাবে কথা দিয়ে দুমাস আগে তাকে বিয়ে করেছিলেন রাজ্জাক।”

গত ১৫ মার্চ ধোবাউড়ার টাংগাটি গ্রামের ক্ষেত থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে বুধবার বিকালে আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, “বিয়ের পর তারা আলাদা বাসায় থাকত, মাঝে মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের গাজীপুরের গাছা রোডের ভাড়া বাসায় আসত মেয়েটি।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমিজমা নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তার ভাই আমিনুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে আমিনুলকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা থেকে রাজ্জাক তার স্ত্রীকে হত্যা করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “গত ১৪ মার্চ ওই তরুণীকে ময়মনসিংহে ডেকে আনে রাজ্জাক। তারপর ধোবাউড়া গোয়াতলা কংশ নদীর তীরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে সেখানে অপেক্ষমান দুই সহযোগিসহ তাকে ধর্ষণ করে।

“তারপর ওই তরুণীকে হত্যা করে লাশ আমিনুল ইসলামের বাড়ির পাশে ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে তাকে। আমিনুলকে ফঁসানোর জন্য লাশের সঙ্গে তার ছেলে শহীদুল্লাহর জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপিও রেখে দেয় তারা।”

এ ঘটনায় ১৬ মার্চ ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর বাবা। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।