বুধবার দুপুরে ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানান।
নিহতরা হলেন গজারিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার এরফান মিয়া (৫০) ও গজারিয়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আমিন মিয়া (১১)।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম শাহারিয়ার জানান, সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে প্রতি বুধবার থানা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
তিনি জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মানিকদী-ভৈরব সড়ক দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে শহরে যাচ্ছিলেন দফাদার এরফান মিয়া। অটো রিকশাটি গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অতিক্রম করার সময় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আমিন মিয়া সড়ক পার হতে দৌড় দেয়।
“এ সময় শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এরফান মিয়া। ফলে অটোরিকশাটি স্কুল ভবনের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেয়; এতে এরফান মিয়া ও আমিন মিয়া গুরুতর আহত হয়।”
আবদুস ছালাম জানান, দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দফাদার এরফান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আমিন মিয়ারও মৃত্যু হয়।
চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম আরও জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ইউনিয়ন পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটাতে করে দরিদ্র রোগীদের আনা-নেওয়া করে। এরফান মিয়া এটা চালাতেন।
ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তারা হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়ি নিয়ে গেছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, “সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে আসার পথে একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনই নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তাদের নিহত হওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি যেন তাদের পরিবারের জন্য কিছু সহায়তা করা যায়।”