‘ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ’: সুন্দরগঞ্জের ওসি প্রত্যাহার

ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলায় ‘আসামির এক স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে ফোনালাপের পর’ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2022, 11:25 AM
Updated : 16 March 2022, 11:25 AM

মঙ্গলবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

গত বছর ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাসা থেকে হাসান আলী নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। অপর দুই আসামি হচ্ছেন রুমেল হক ও খলিলুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। বর্তমানে তিনি জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি।

মঙ্গলবার ওই মামলার আসামির এক স্বজনের সঙ্গে ওসির ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে ফোনালাপের খবর আসে গণমাধ্যমে।

এর পরপরই ওসি তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়।

তবে ওসি তৌহিদুজ্জামান ফোনালাপের কথা অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ওসির বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা তদন্ত করার জন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাসুদ রানার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন ব্যবসায়ী হাসান আলী। এই টাকা সুদ-আসলে ১৯ লাখে দাঁড়ায়। সুদের টাকা দিতে না পারায় গত বছর ৬ মার্চ হাসানকে নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন মাসুদ। এক মাসের বেশি সময় হাসানকে মাসুদ আটকে রাখেন বলে অভিযোগ।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন গাইবান্ধা থানার তৎকালীন পরিদর্শক সেরাজুল ইসলাম। একপর্যায়ে তদন্তের দায়িত্ব পান ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান।

চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি মাসুদ ও খলিলুরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ওসি তৌহিদুজ্জামান। এর দুই দিন পর তিনি সুন্দরগঞ্জের ওসি হিসেবে বদলি হন। পরে গাইবান্ধা আদালত পুলিশ অভিযোগপত্রটি সংশোধনের জন্য তৌহিদুজ্জামানের কাছে ফেরত পাঠায়। গত ৭ মার্চ মাসুদ রানাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সংশোধিত অভিযোগপত্র জমা দেন তৌহিদুজ্জামান।

ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের দিনই মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জেলা কারাগারে রয়েছেন। অন্য দুই আসামি জামিনে আছেন।