সোমবার বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বক্শিপাড়া গ্রামের ওই অগ্নিকাণ্ড হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বারত দিয়ে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম শাহ বলেন, ওই গ্রামের কৃষক আবেদ আলীর বাড়ির রান্না ঘরে চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। “এতে ওই ঘরসহ আশপাশের ২৭ পরিবারের ৭৫টি টিনের ঘর ও ঘরে রক্ষিত আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, চাল, ডাল, আলুসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়।”
খবর পেয়ে সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে তিনি জানান।
উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে উত্তরা ইপিজেড ও সৈয়দপুর দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, “খবর পাওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার এবং আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ পরিবারের প্রতিটিকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ এক হাজার করে টাকা, দুটি করে কম্বল ও শুকনো খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুত উপজেলা পরিষদে দিতে বলা হয়েছে। তালিকা পাওয়া পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের ব্যক্তিগত সহকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারেকে তাৎক্ষণিকভাবে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষ থেকে নগদ দুই হাজার করে টাকা এবং দুটি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে।