‘ত্রিভুজ প্রেমের’ বিরোধে যুবক খুন, নারীসহ গ্রেপ্তার তিন

নাটোরে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো দুই যুবকের দ্বন্দ্বে একজন খুন হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2022, 03:49 PM
Updated : 11 March 2022, 03:49 PM

এই ঘটনায় ওই নারীসহ আরও দুই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ কথা প্রকাশ করেন।

নাটোরের লালপুরের দিলালপুর গ্রামে ৪ মার্চ দুই পা ও হাতের রগ কেটে এবং কুপিয়ে মো. জুয়েল হোসেনকে (৩০) হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দিলালপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের এক গৃহবধূ (২৮), মো. আবেদ আলীর ছেলে মো. মেহেদী হাসান লিটন (২০) ও মো. জিয়ারুল ইসলামের ছেলে মো. মেহেদী হাসানকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, চাকু ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ৪ মার্চ ভোর রাতে জুয়েল আলীকে ডেকে নিয়ে দুই পা ও হাতের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। ভোরে আত্মীয়-স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত জুয়েল হোসেনের সঙ্গে তার আপন চাচির [গ্রেপ্তারকৃত] বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে উভয়কে সতর্ক করা হয়। কিন্তু জুয়েল নিষেধ না মেনে যাতায়াত করতে থাকলে চাচির সৎ ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

“এদিকে, প্রতিবেশী যুবক মেহেদী হাসান ওরফে লিটনের সঙ্গেও ওই নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

“এরপর জুয়েলের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের অবনতি হয় এবং তিনি জুয়েলকে তার কাছে যেতে নিষেধ করেন; কিন্তু তা অমান্য করে জুয়েল যাতায়াত করতে থাকেন।”

এসপি বলেন, ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এই নারী, মেহেদী হাসান লিটন ও মেহেদী হাসান জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই রাতেই সাড়ে ৮টার দিকে পরিকল্পনা মোতাবেক এই গৃহবধূ মোবাইলে জুয়েলকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বলে কৌশলে তাকে কয়েকটি ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ান এবং জুয়েল ঘুমিয়ে পড়েন। তখন তাকে বাড়ির পেছনে মেহেদী হাসান লিটন ও মেহেদী হাসানের কাছে রেখে আসেন তিনি। এররপ দুজনে মিলে তাকে হত্যা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব, লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (পরিদর্শক) ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।