সাপমারা ইউনিয়নের সাঁওতাল পল্লির জয়পুর মাঠে শুক্রবার সকালে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘অবলম্বন’ এর সহযোগিতায় নাগরিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ গাইবান্ধা’ এই উৎসব আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে।
মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় সংস্কৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বলেন ফিলিমন।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক ও জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, একটি শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশ তার মাতৃভাষার মাধ্যমে হয়। কিন্তু চর্চার অভাবে আদিবাসী বর্ণমালার সবই এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজস্ব ভাষায় তাদের অক্ষর জ্ঞান নেই।
উৎসবে উপজেলার মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লির শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর খেলাধুলা, নাচ-গান, ছবি আঁকা ও তীর ছোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পরে বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জন উদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, জেলা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু ও তৃষ্ণা মুর্মু অংশ নেন।