পরে ‘পুলিশের পরামর্শে’ ওই আসামি হ্যান্ড মাইকে থানার বাইরে জড়ো হওয়া লোকজনকে ফিরে যেতে বললে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শৈলকুপা থানায় এ ঘটনা ঘটে বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন আলি জানান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল।
শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন আলি জানান, ৮ জানুয়ারি দুপুরে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় বগুড়া গ্রামের কল্লোল খন্দকার নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে একদল লোক।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় নিহতের ভাই শৈলকুপা থানায় চেয়ারম্যান শিমুলকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আসামি কারাগারে আছেন।
মহসিন বলেন, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনকে শৈলকুপা থানায় পুলিশ এক দিনের রিমান্ডে আনে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের এলাকার প্রায় দুই হাজার মানুষ রাত সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানার সামনে জড়ো হয়ে চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
মহসিন বলেন, “এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চেয়ারম্যানকে হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দেওয়ানো হয়। তিনি থানার সামনে বিক্ষোভরতদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।”