রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজিদিঘীরপাড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চা দোকানি মো. আলমগীর জেলার রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আলমগীর ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর ধরে আলমগীর কাজিরদিঘীরপাড় বাজারে চা দোকানের ব্যবসা করছেন। কয়েক বছর এক যুবক প্রায়ই দোকানে এসে চা-সিগারেটসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে টাকা দেন না। টাকা চাইলে পরে দেবেন বলে চলে যান। মাঝে মাঝে দলবল নিয়েও খেয়ে চলে যান। এরপর থেকে আর তার বাকির হিসাব রাখা হয় না।
আলমগীর বলেন, রোববার সন্ধ্যায় দোকানে এসে এই যুবক চা-সিগারেট নেন। চা-সিগারেট পান করা শেষে তিনি চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে ডেকে আলমগীর টাকা চান। কিন্তু যুবকটি টাকা দেবে না বললে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে তার দোকানে আর না আসতে বলেন।
এ নিয়ে দুজনের বাদানুবাদের এক পর্যায়ে গ্যাসের চুলার ওপর থাকা গরম পানিসহ চায়ের কেটলি ওই যুবক আলমগীরের শরীরে ছুড়ে মারেন, বলেন আলমগীর।
এরপর আরেকটি কেটলি ছুড়ে মারার সময় আলমগীর হাত দিয়ে ধরে ফেললে তার হাত, হাঁটু, পিঠ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়, বলেন আলমগীর।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করা গেল না।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, গরম পানিতে আলমগীরের হাত, হাঁটু, পিঠ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”