পৌরসভার পূর্ব মিলপাড়ায় রোববার সন্ধ্যায় ৭ বছর বয়সী এই শিশুর লাশ পাওয়া যায় বলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান।
মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিদিন বিকালে মেয়ে খেলতে যায়। খেলা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে।
“কিন্তু আজ সন্ধ্যা পার হলেও সে বাড়ি না ফেরায় অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির ভেতর টিনের ঘরে গিয়ে দেখি গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পড়ে আছে। ওড়নার আরেক প্রান্ত বাঁধা ছিল ঘরের আড়ের সঙ্গে।”
মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ”আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। ফোন পেয়ে বাড়ি এসে দেখি মেয়ে মারা গেছে। ঘরের মধ্যে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। আমার স্ত্রী ওড়না কেটে তাকে উদ্ধার করে।”
স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানান তিনি।
“এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করবে কেন? সে তো আত্মহত্যা কী তাই বোঝে না।“
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁসে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁসে তার মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।