বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোল শুল্কভবন কর্তৃপক্ষর দায়ের করা মামলা ও লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারী কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠন কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2022, 10:16 AM
Updated : 6 March 2022, 10:16 AM

রোববার সকাল থেকে বেনাপোল শুল্কভবন ও বন্দর গেইটের সামনে বন্দর ব্যবহারকারীরা অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এক শ্রেণির ভারতীয় ট্রাক চালক দুদেশের চোরাকারবারিদের যোগসাজশে বৈধ পণ্যের ট্রাকে লুকিয়ে অবৈধ পণ্য নিয়ে আসে। যার দায় ভার বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারকারীদের উপর চাপানো হয়।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, “ভারতীয় এক শ্রেণির ট্রাকচালক অর্থের লোভে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বৈধ আমদানিপণ্যের সঙ্গে চোরাচালান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করে আসছে। এর আগে অসংখ্য ট্রাক অবৈধ মালামালসহ বেনাপোলে কাস্টমস ও বিজিবির হাতে ধরাও পড়েছে।

অপরদিকে পেট্রাপোলেও বিএসএফ ও পুলিশ ভারতীয় ট্রাকের মধ্য থেকে সোনা, ডলার, পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, রুপার গয়নাসহ ট্রাকচালককে আটক করেছে। ভারতে ট্রাকচালক আটক হলেও বেনাপোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভারতীয় কোনো ট্রাকচালককে আটক না করে ছেড়ে দেয়।এখানে আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফকে দায়ী করা হয়। অথচ তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।”

এ রকম ঘটনায় এরই মধ্যে ১০টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।এসব ঘটনায় বন্দর ব্যবহারকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান লতা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে কাস্টমস। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় পণ্য চালান গ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

“ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আমদানিকৃত বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ পণ্য আনা হলে তার দায়ভার বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারকারিরা নেবে না।”

বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা ঘোষণায় বৈধ চালানের আড়ালে অবৈধ পণ্য পাওয়ায় দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে শোকজ করা হয়েছে। অবৈধ পণ্য আমদানির অভিযোগে থানায় মামলাও করা হয়েছে। এর কারণে আন্দোলন করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলছে।”