বান্দরবানে খালের পাশে গুলিবিদ্ধ ৪ লাশ

বান্দরবানে রোয়াংছড়ড়ি উপজেলায় চারজনের লাশ পাওয়া গেছে; যারা ‘গোলাগুলিতে’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2022, 06:42 AM
Updated : 6 March 2022, 01:55 PM

রোববার সকালে উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে ঘেরাউমুখ এলাকার সাঙ্গু নদীর খালের পাশে চারজনের লাশ পাওয়া যায় বলে জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। কাদের গুলিতে তারা নিহত হয়েছে, সে বিষয়েও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বান্দরবানের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘শনিবার রাত ১০টার দিকে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে মংবাতং নামে এলাকায় দুপক্ষের গোলাগুলির খবর আমরা পাই। কিন্তু রোববার সকালে খবর আসে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে ঘেরাউমুখ এলাকার সাঙ্গু নদীর পাশে চারজনের লাশ পাওয়া গেছে। দুপক্ষের গুলাগুলিতে ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

এসপি জেরিন আক্তার এই ঘটনাকে শনিবারের আরেকটি ঘটনার পাল্টা বলে ধারণা করছেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি ‘অ্যাকশনের’ একটা ‘রিঅ্যাকশন’ আছে। পাহাড়ে একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। একটা সংগঠন যখন আরেকটা সংগঠনরে উপর চড়াও হয়, স্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত সংগঠন একটা ‘রিঅ্যাকশন’ দেখাবে।

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি [চার লাশের ঘটনা] একটি ‘রিঅ্যাকশন’ হতে পারে।”

নাম না প্রকাশের শর্তে তারাছা এলাকার এক বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার দুপুরে তারাছা ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বুইক্ষ্যংপাড়ায় উনুমং মারমা নামে জেএসএস এর (সন্তু লারমা) এক সক্রিয় কর্মীকে গুলি করে কথিত মগ লিবারেশন পার্টির সদস্যরা। পরে বুইক্ষ্যং পাড়া থেকে তারা লাশটি রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর উজানের দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে লাশ বহন করে নিয়ে যায়।

“বিকালের দিকে জনসংহতি সমিতির কর্মীরা প্রতিরোধ করে পাল্টা হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত চারজনই মগ লিবারেশন পার্টির সদস্য হতে পারে। এরপর রাত হয়ে যাওয়ায় কেউ খবর নেওয়ার সাহস করেনি। রোববার সকালে ঘেরাউমুখ এলাকায় তাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”

উনুমং মারমাকে গুলি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “উনুমং মারমাকে বা তার মরদেহ এখনও পায়নি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জীবিত অথবা মৃত তাকে খুঁজে পেলে ঘটনা পরিষ্কার হবে।”

প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অশোক কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী ও বান্দরবান সদর থানা ওসি রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।