তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর শনিবার দিনভর আলোচনা শেষে বিকালে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ জানান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়।
পরে অধ্যাপক আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
অধ্যক্ষ দেবনাথ বলেন, অধ্যাপক আজাদ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রদের ফেল করান বলে ৫৩ ব্যাচের ছাত্র কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যা তদন্ত করে কমিটি সত্যতা পায়নি। তাই হাসানকে তিন বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় তিনি ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবেন না।
“তাছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল গেটের সামনে ৫৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে অধ্যাপক আজাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন; বিক্ষোভ দেখান। তাছাড়া আজাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটি অধ্যাপক আজাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি।”
অধ্যক্ষ বলেন, এসব কারণে ফায়াদুর রহমান আকাশ ও তামান্না তাসকিন নামে দুই শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবেন না। আর সুনীতি কুমার দাশ, সানবীম খান, মহিদুল হক, তানভীন হাসান, কাশফী তাবরীজ, বাপ্পু কর্মকার ও সাখাওয়াত হোসেন সিফাতকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এ সময় তারাও ছাত্রাবাসে থাকতে পারবেন না।
তাছাড়া আরও আটজনের মুচলেকা নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।