শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পরস্পরকে দায়ি করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ।
দুমকি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা বিএনপির দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় তিনিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৭ জনকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির একাধিক নেতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। একই সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় বিএপির সমাবেশে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন নামের তাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুমকি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে দুপক্ষের মধ্যে সহিংসতা হয়।