ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে এক ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নিয়ে’ আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2022, 02:55 PM
Updated : 4 March 2022, 02:55 PM

বুধবার সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের কামানখোলার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনে স্ত্রী লাকি বেগম এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগের মুখে থাকা মো. ইসমাইল হোসেন দালাল বাজার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা।

বুধবার সদর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করবেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায়।

লাকি বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় ৪০ বছর আগে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে তার স্বামী ইসমাইল ও শ্বশুর সাড়ে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে একটি টিনের ঘর করে তারা বসবাস করে আসছেন। পুরনো ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। লাকি বলেন, এ সময় তার চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদ জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী [তহশিলদার] কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়।

অভিযোগে লাকি বলেন, তহশিলদার ইসমাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাকির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে লাকি তাকে ২০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দেওয়ায় সৈয়দ আহম্মদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দেন।

ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলে থাকা সত্ত্বেও তহশিলদার ঘুষের জন্য লাকিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করেন, অভিযোগ লাকির।

লাকি বেগম বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে তহশিলদার ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। পরে নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। দাবিকৃত পুরো টাকা না পেয়ে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।”

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।”

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, “অভিযোগটি এখনও আমি হাতে পাইনি। অভিযোগটি পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”