শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. জুয়েল আলী (৩০) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান জানান।
নিহত মো. জুয়েল আলী (৩০) ওই গ্রামের মো. সাকেম আলীর ছেলে।
ফজলুর বলেন, “দিলালপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কে বা কারা জুয়েল আলীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার দুই পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বাড়ির উত্তর পাশে গম ক্ষেতের পাশে পতিত জমিতে ফেলে রেখে যায়।
“ভোরে তার চাচাতো ভাই মো. লিখন আলী খেজুর গাছ থেকে রস নামাতে গিয়ে তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।”
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, “ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।”
নিহতের মামা মন্টু আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিলালপুর বাজারে তার সঙ্গে ভাগিনা জুয়েল আলী কেরাম খেলার পর চা খেয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।