রোয়াংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলার নোয়াংপতং ইউনিয়নের একটি জঙ্গল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন তারা।
মৃত নারীর বয়স ৪৫ বছর এবং তার বাড়ি ওই উপজেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নারীর পরিবারের সদস্যদের বরাতে নোয়াপতং ইউপি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শৈউচিং মারমা বলেন, “প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে জুমক্ষেতে হলুদ তুলতে যান ওই নারী। পরে বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে জুমক্ষেতে যায়। সেখোনে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে । এক পর্যায়ে জুমক্ষেতে পাশে একটা জঙ্গলে বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।”
তিনি বলেন, “ওই নারীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি হলুদ তুলতে যাওয়ার সময় জুমক্ষেতের পাশে একটা বাগানে চারজন শ্রমিক গাছ কাটছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, তারাই ওই নারীকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে।”
রোয়াংছড়ি থানা ওসি আব্দুল মান্নান জানান, শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়ছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন।