নয় বছর পর বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথির বরাতে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মদ বলেন, জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব চর চান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাশেম আলী সারেং বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা ছেরাজুল হকের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পাতাইল্লা বেড়িবাঁধে একটি চা দোকান থেকে নিখোঁজ হন।
“পাঁচ দিন পর ১২ জানুয়ারি বড় ফেনী নদীর তীরে জয়নালের পরনে থাকা জ্যাকেট পাওয়া যায়।“
নিখোঁজের ১১ দিন পর ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি তার বাবা ছেরাজুল হক চার জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
পিপি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আমির হোসেন ছয় জনকে আসামি করে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
“মামলার বিচারকালে নয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। নিখোঁজ মো. জয়নাল আবেদীনকে হত্যা করা হয়েছে – এটি বাদীপক্ষ আদালতে যথাযথভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আদালত অভিযুক্ত ছয় আসামির সকলকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।“
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, “আমাদের আদালতের প্রতি আস্থা রয়েছে। বিচারক মামলা পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহভাজন আসামি দুলাল, দেলোয়ার হোসেন লিটন, সিরাজুল ইসলাম মাস্টারসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায় পেয়ে সন্তুষ্ট।“