কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বনানী সড়কে বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনে দলটির এই সমাবেশ হয়। সেখানে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি গণমাধ্যমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। এ সময় হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের সমাবেশস্থলে হামলা চালায়।
হামলা ও লাঠিপেটায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে সদস্য সচিব আরও বলেন, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মাহাবুব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জ্বলসহ তিনি নিজেও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক পর্যায়ে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তা পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, “আমার ওপর কেউ হামলা করলে আমি কি তাকে ছেড়ে দেব?”
কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের বিষয়টি জানিয়ে এসপি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে কি-না সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছে।”