পটুয়াখালীতে হামলায় পণ্ড বিএনপির সমাবেশ, সংঘর্ষ-লাঠিপেটা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তেল-গ্যাস-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে; এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2022, 07:57 AM
Updated : 2 March 2022, 08:16 AM

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বনানী সড়কে বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনে দলটির এই সমাবেশ হয়। সেখানে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি গণমাধ্যমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। এ সময় হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের সমাবেশস্থলে হামলা চালায়।

“ঠিক এর পর পরই পুলিশ এসেও আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। হামলায় আমাদের সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।“

হামলা ও লাঠিপেটায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে সদস্য সচিব আরও বলেন, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মাহাবুব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জ্বলসহ তিনি নিজেও আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক পর্যায়ে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তা পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

তবে বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, “সরকারি কলেজ থেকে আমাদের কর্মীরা মিছিল নিয়ে মুসলিম পাড়ার দিকে যাচ্ছিল। বনানীর মোড়ে গেলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গলির দুই দিক থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আট নেতাকর্মী আহত হয়।

তিনি আরও বলেন, “আমার ওপর কেউ হামলা করলে আমি কি তাকে ছেড়ে দেব?”

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপির পার্টি অফিসের কাছে দুই গ্রুপ ঝামেলা করছে তাই পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। “

কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের বিষয়টি জানিয়ে এসপি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে কি-না সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছে।”

সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা মুনির হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মোনায়েম মুন্না, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।