মঙ্গলবার বিকালে নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের বুড়িখালি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন যশোরের পায়রা ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামের হরিচাঁদ বিশ্বাসের স্ত্রী মিনি রানী বিশ্বাস (৪০) ও একই এলাকার সোহাল বিশ্বাসের স্ত্রী মমতা বিশ্বাস (৫০)।
আহত অটোরিকশার চালককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বেলা ৩টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সমসপুর থেকে পাঁচটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ৩৫-৩৮ জন হিন্দু নারী-পুরুষ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর আসছিলেন।
পথে বুড়িখালিতে বিপরীত দিক থেকে আসা খানজাহান পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
অটোরিকশায় থাকা আনন্দ মোহন রায় জানান, শিব চতুর্দশী উপলক্ষে তারা পাঁচটি অটোরিকশায় অভয়নগর উপজেলার সমসপুর ও আশপাশের গ্রাম থেকে লোহাগড়ার জয়পুরের তারক গোঁসাইয়ের বাড়ি আসছিলেন।
“বুড়িখালি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নড়াইল অভিমুখী খানজাহান আলী পরিবহন ও সামনে থাকা একটি অটোরিকশার মুখোমখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ অন্তত আট জন আহত হন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, মিনা রানী বিশ্বাসকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মমতা বিশ্বাস হাসপাতালে ভর্তির পর বিকাল ৫টার দিকে মারা যান।
গুরতর আহত অটোরিকশার চালক অশরাফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির জানান, বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারী নিহত হয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।