সোমবার রাতে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম সাহেবনগর গ্রাম থেকে মো. মহসীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন বিকালে তার স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামী ও শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার মো. মহসীনকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন মামলার বরাতে বলেন, গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাদীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মহসীনের। বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন মহসীন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন স্বামী।
ইতোমধ্যে বাদী তার বাবার পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেন উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, এতেও স্বামীর মন না ভরলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন এবং লোহার কাঁচি গরম করে পায়ু পথে ছ্যাঁকা দিয়ে রক্তাক্ত করেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন বলেন, এই মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। অপর আসমিদেরও আইনের আওয়তায় আনা হবে।