মঙ্গলবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কুমুরগঞ্জের বাড়ি থেকে রাসেল মিয়াকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান।
নিহত ২৫ বছর বয়সী গৃহবধূও কুমুরগঞ্জের বাসিন্দা।
এসপি মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর রাসেল পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তির পর বৃহস্পতিবার বিকালে ফতুল্লার আদর্শ নগরের রঙ্গিলা রোডের ডোবা থেকে হাড়গোড়ের ১৯টি অংশ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, রাসেল স্ত্রীকে নিয়ে ফতুল্লার আদর্শ নগরের রঙ্গিলা রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই রাসেলের মৃত বোনের স্বামী মোস্তফাসহ অনেকের সঙ্গে গোপনে কথা বলতেন বলে সন্দেহ করতেন রাসেল।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ২০২১ সালের শবে বরাতের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মেবাইল ফোনে কথা বলতে দেখে মারপিট শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা বটি দিয়ে স্ত্রীর গলায় আঘাত করেন। এতে স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে গলা থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেন রাসেল। পরে হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেন। পরে তা পার্শ্ববর্তী ময়লার স্তূপে ফেলে দেন।
“এরপর গত বছরের ৪ এপ্রিল গভীর রাতে খণ্ডিত মাথা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বাড়ৈভোগের বটতলা এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান রাসেল।”
এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাগিনা ফতুল্লা থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এসপি বলেন, জিডির সূত্র ধরে থানা থেকে রাসেলকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি সোনারগাঁ থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার নয় মাস পর রংপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।