রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহাদ আলী ব্যাপারী বাড়ি থেকে ফাতেমা বেগম নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন তারা।
৬০ বছর বয়সী ফাতেমা ওই বাড়ির মৃত আলী আকবরের স্ত্রী।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন বিডিনিউজে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফাতেমার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী। মেঝো ছেলে ঢাকায় থাকে। আর মেঝো ছেলে ঢাকায় থাক। বাড়িতে ফাতেমা আর তার ছোট ছেলে মিলন থাকত।
মিলন ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ জানিয়ে তিনি বলেন, “বুধবার সন্ধ্যায় ফাতেমা বাপের বাড়ি থেকে ফেরেন। রাতে মা ও ছেলে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাতের কোন এক সময় মিলন তার মাকে হত্যার পর মৃতদেহে কম্বল পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের নামাজের সময় বাড়ির অন্য লোকজন ঘুম থেকে উঠে ফাতেমার ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন এবং পোড়া গন্ধ পান।
তারা এ সময় ফাতেমার ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং তার শরীরে আগুন জ্বলছে। আর পাশেই মিলন বসে ছিল। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ফাতেমার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে।”
আগুনে ফাতেমার শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে বলে জানান নুরুল।
ওসি বলেন, তারা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।