কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে দুলাল মিয়া সংবাদ সম্মেলন করে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া বলেন, তিনি গ্রামীণ শক্তি সোলার প্যানেল বিভাগে চাকরি করায় তার কাছে সদর ইউনিয়নের জোড়গাছ পাত্রখাতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মুদাফৎ থানা এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হারুনুর রশীদ হারুন মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এছাড়া প্রতি সোলার প্যানেল গ্রাহক থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে চাপ দেন।
“উল্লেখিত চাঁদা না দেওয়ায় ২০২১ সালের ১ নভেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন ও তার কিশোর বাহিনী নিয়ে আমার ছেলে জাহিদ হোসেনকে (১৭) মারধর করে।”
”তখন আমার স্ত্রী আছিয়া বেগম ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কিলঘুষি মারে। এ সময় আমি এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাকে মাটিতে ফেলে হাত-পা চেপে ধরে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
হাসপাতালে তার ডান হাতে লোহার রড সংযুক্ত করে হাড়ের জোড়া লাগানো হয় বলে জানান দুলাল মিয়া।
এ নিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর চিলমারী মডেল থানায় হারুনসহ তার কিশোর বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন জানিয়ে দুলাল বলেন, আসামিরা ১৪ নভেম্বর আদালত থেকে জামিন পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে প্রাণ ভয়ে এখন তিনি গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।
এখন তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন দুলাল মিয়া।
তবে হারুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ”অভিযোগকারী এই ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে আমাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে জাহিদ হোসেন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ চাওয়া নিয়ে অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হলে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতিকুর রহমান বলেন, ”আসামিরা জামিন পাওয়ার পর দুলাল মিয়াকে আমি সব সময় তার বাড়িতেই পেয়েছি।”
হুমকির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ায় আবার জিডি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, তদন্তের জন্য কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।