মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের নলচর বাগরদা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), কাবাড়িপাড়ার গোলাম রব্বানীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫২) ও হাজী আব্দুল কুদ্দুস (৭০)।
দুর্ঘটনার পর থেকে রুদ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৭২) ও কাবাড়িপাড়ার মৃত কছিম উদ্দিন সেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৬০) নিখোঁজ রয়েছেন।
স্বজনরা জানান, এ ঘটনার পর রুদ্রপুর ও কাবাড়িপাড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
“রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একটি ট্রলার ঘাটে বাধা কাফেলার নৌকার উপরে তুলে দেয়; এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় মুসুল্লিদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে অভিযানে অংশ নেন।”
ক্বারি শামসুল হক বলেন, পাঁচজন নিখোঁজ ছিলেন, তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা খোরশেদ বলেন, বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত নিখোঁজদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দুজনকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
মুজাহিদ কমিটির নেতা ক্বারি শামসুল আরও বলেন, উদ্ধারের পর মৃতদেহগুলো মাহফিলস্থলে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থদের চরমোনাই মাহফিলস্থলের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।