সোমবার বিকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েংছে।
গ্রেপ্তার বাদল চৌহান (৪৭) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার হরিরামপুরের মৃত জীবন চৌহানের ছেলে এবং মো. ফেরদৌস (৩০) দিঘারকান্দার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত বলেন, সোমবার রোকসানা বেগম নামে এক নারী ময়মনসিংহের কৃষ্টপুর বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফুলপুর যেতে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যান। পরে তিনি সেখান থেকে ফুলপুর যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় ওঠেন।
গ্রেপ্তারদের বরাতে তিনি বলেন, এদিকে ওই অটোচালকের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা আরও চারজন ইতোমধ্যেই যাত্রী বেশে অটোরিকশায় অবস্থান করছিলেন।
তিনি বলেন, অটোরিকশাটি রওনা দিলে যাত্রীবেশে বসে থাকা বাদল চৌহান দুটি নকল স্বর্ণের বার বের করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন। বারগুলো তিনি অটোরিকশায় পেয়েছেন বলে জানান। এ সময় ওই নারী বার দুটি দেখতে চাইলে বাদল চৌহান দেখানো যাবে না বলে আবার লুকিয়ে ফেলেন।
“এরপর কৌশলে ওই নারীর কাছ থেকে দুটি স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নকল স্বর্ণের বার দুটি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চান ‘প্রতারকরা’।”
বেলায়েত বলেন, ওই নারী ‘প্রতারণার’ বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকায় অটোরিকশা থামিয়ে পালাতে চায় প্রতারকরা। তখন ওই নারী দুই প্রতারককে ঝাপটে ধরে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে বাদল চৌহানসহ দুজনকে ধরে ফেলে।
এরপর পাশে টহল ডিউটিতে থাকা র্যাব-১৪ এর একটি দল ওই দুইজনকে আটক করে; তবে অপর দুই প্রতারক কানের দুল, স্বর্ণের চেইন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান বেলায়েত।
এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয় জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন।
সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।