মঙ্গলবার রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডিত মো. ফারুক (৪০) রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ডলুছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ফারুক হলেন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মামা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডলুছড়ি গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ফারুক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন। ফারুক মেয়েটির মায়ের আপন ফুফাতো ভাই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফারুক ধর্ষণের পর কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করায় বিষয়টি গোপন থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে পরিবার বিষয়টি জানতে পারে।
“পরবর্তীতে মেয়েটির সন্তান হয় এবং তিনদিন পর নবজাতক মারা যায়। ডিএনএ পরীক্ষায় নবজাতকের বাবা মো. ফারুক বলে প্রমাণিত হয়।”
রাঙামাটি জজ আদালতের পিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, অর্থদণ্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা বাদীর পরিবারকে দেওয়া হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সম্পত্তি ক্রোক করে প্রাপ্ত অর্থ ভিকটিমকে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।