মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির নাম মো. মজনু মিয়া।
আর যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- তফসের আলী, আব্দুল জলিল, তিতু, ইকতিয়ার ও আব্দুল আলিম।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক জানান, সাজার পাশাপাশি এই ছয় আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও দুমাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া এ মামলায় ১৭ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং আপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নোয়ার আলী, বিশারদ আলী ও লিটন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল বিকালে সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামে চান্নু মিয়ার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরে বাবা মার সামনে চান্নুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে বাড়ির অন্যদেরকেও আহত করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন চান্নুর বাবা শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৭ সালের ৩০ জুন ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
এ মামলায় ১ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন- মো. তোয়াজ উদ্দিন, মো. সারোয়ার, মো. বাচ্চু, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নুর ইসলাম, মো. রানা, কলিম উদ্দিন, মো. সাত্তার, মো. খোয়াজ উদ্দিন, মো. আসলাম, মো. সিরাজ, মো. জিয়াউর রহমান, মো. বাকি, মো. আব্দুর লতিফ, মো. রবিউল, মো. আমিরুল ইসলাম ও মধু।
এছাড়া বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যাওয়ায় আসামি মো. সৈয়দ আলি, মো. আতিয়ার রহমান, বছির আলি ও মো. আফছার আলিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পিপি জানান।