ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার মধ্যরাতের দিকে এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি আক্তারুজ্জামান প্রধান।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।“
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাদেক আলী পরিবারের সঙ্গে নগরীর তাজহাট নাজির দিগর এলাকার বসবাস করেন। রোববার রাত ১১টার পরে বাসা থেকে বের হন শহীদ মিনারের উদ্দেশে। তারপর আর বাসায় ফেরেননি।
ছাদেক আলীর গায়ের রঙ ফর্সা, তিনি উচ্চতায় ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি। তার মাথার চুল ও দাড়ি সাদা রঙের। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পরনে সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং খয়েরি রঙের জ্যাকেট ছিল।
কেউ কোথাও তাকে দেখলে বা সন্ধান দিতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় অথবা পরিবারের সঙ্গে ০১৮১১৪২৮৩২২ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে জিডিতে।
আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও জিডির বাদী মেহেদি হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, “রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য বাবা বাসা থেকে বের হন। এরপর দেড় দিন হতে চলেছে। তিনি এখনও বাসায় ফিরে আসেননি।
“জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তিনি যাননি। বাবার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানিয়েছে, সবশেষ অবস্থান নগরীতে দেখাচ্ছে,”, যোগ করেন মেহেদি।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়া রহমান শফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাদেক আলী সাহেব পার্টি অফিসে এসেছিলেন। পরে তিনি আমাদের সবার সঙ্গে শহীদ মিনারে বেরিয়ে যান ফুল দেওয়ার জন্য। সবাই একসঙ্গে আমরা ফুল দেই।
তারপর আর দেখা হয়নি জানিয়ে শফি বলেন, “ছাদেক সাহেব বৃদ্ধ মানুষ। তার কোনো শত্রু নেই। আমরা পুলিশের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছি। তাদের চাপ দিচ্ছি ছাদেক আলীকে খুঁজে বের করার জন্য।”